লম্বা, কালো, ঘন চুলের আশা সবাই করে থাকে । তবে খুব কম মানুষই এই কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে। তাই সকলেরই চুল ভালো রাখার টিপস সম্পর্কে জানা উচিত। এক্ষেত্রে চুলের যত্নে মাখতে পারেন পেয়ারা পাতা।
পেয়ারা পাতায় এমন কিছু উপকারী উপাদান থাকে যা চুলের জন্য ভীষণ উপকারী। বেশকিছু অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজে ভরপুর এই পাতা। এক্ষেত্রে সবথেকে ভালো হয়, এই পাতার সঙ্গে কয়েকটি পদার্থ মিশিয়ে নিতে পারলে। তবেই চুল থাকবে ভালো।
চুল পড়ার সমস্যায় কম-বেশি সবাইকেই ভুগতে হয়। অনেক সময়ে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলেও লাভ হয় না। অনেকেরই মাথায় টাক দেখা দেয়। ঘরোয়া কিছু উপায় বেছে নিলে এই সমস্যার সমাধান হতে পারে। তার মধ্যে একদম সহজ একটির কথা বলা হল এখানে। একটি মাত্র পাতা দিয়েই মাথা ভর্তি চুল ফিরে পাওয়া সম্ভব।
এই পাতাটি হল পেয়ারা পাতা। খুব সহজেই পেয়ারা গাছ খুঁজে পাওয়া যায়। পেয়ারা ফল হিসেবে যেমন উপকারী, এর পাতার কার্যকারিতাও কম নয়। আমাদের চুল পড়ার সমস্যা দূর করে মাথায় নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে এই পাতা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কেউ যদি নিয়মিত চুলের যত্নে পেয়ারা পাতা ব্যবহার করেন, তবে দ্রুত উপকার পাবেন। কারণ এই পাতা ব্যবহার করলে তা চুল পড়া কমায় এবং চুলের স্বাভাবিক বৃদ্ধি বজায় রাখে। উপকারী এই পাতায় প্রচুর ভিটামিন বি আছে। এটি চুলের পুষ্টিতে ব্যাপক মাত্রায় সাহায্য করে।
অনেক বিশেষজ্ঞের মতেই পেয়ারা পাতা চুল পড়ে যাওয়া ঠেকাতে সাহায্য করে। কার এই পাতা ব্যবহার করলে চুলের গোড়ায় গ্রন্থি কোষ মজবুত হয়। কিন্তু কীভাবে ব্যবহার করবেন এই পাতা? তারও আছে নিয়ম।
প্রথমে পেয়ারা পাতা ভালো করে সিদ্ধ করে নিন। পরিষ্কার জলে মিনিট ২০ সিদ্ধ করুন। এরপর আগুন নিভিয়ে এই জলটি ঠান্ডা হতে দিন। তার আগে এটি ব্যবহার করবেন না।
পেয়ারা পাতার এই মিশ্রণটি লাল রঙের দেখতে হবে। মিশ্রণটি ঠান্ডা হওয়ার পর পরিষ্কার বোতলে ঢেলে নিতে হবে । এটি হেয়ার টনিকের মতো নিয়মিত চুলের গোড়ায় ব্যবহার করতে পারেন। এতে খুব শিগগিরই সুফল দেখতে পারেন।
এই মিশ্রণ দিনে ব্যবহারের পাশাপাশি রাতে ঘুমানোর আগেও ব্যবহার করতে পারেন। এটি দিয়ে মালিশ করতে পারেন। রাতে ব্যবহার করলে সকালে ঘুম থেকে উঠে ঠান্ডা জল দিয়ে ভালো করে মাথা ধুয়ে নিতে হবে। এভাবে কয়েক দিন ব্যবহার করলেই পরিবর্তন বুঝতে পারবেন।
তবে যাঁরা মারাত্মক সমস্যায় রয়েছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে এটি খুব বেশি লাভজনক নাও হতে পারে। তাঁদের উচিত চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করে নেওয়ার। তবে পেয়ারা পাতার এই মিশ্রণ ব্যবহার করলে কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় না। তাই এটি ব্যবহার করা নিরাপদ।
- এই পাতার সঙ্গে পেঁয়াজ মিশিয়ে পেস্ট করে তার রস বের করুন। এরপর নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে মাথায় মাখুন। আধঘণ্টা পর মাথা ধুয়ে নিন।
- ২০টি পেয়ারা পাতা ধুয়ে পেস্ট করুন। এরপর সেই পেস্ট মাথায় মাখুন। ৩০ মিনিট বাদে শ্যাম্পু করে নিন। আশা করছি ভালো থাকবেন।
- অনেকগুলো পেয়ারা পাতা ভালো করে পানিতে ফুটিয়ে নিন। এরপর সেই পানি ঠান্ডা করে রেখে দিন। এবার মাথায় শ্যাম্পু করার পর এই পানি মাথায় স্প্রে করুন। তারপর ম্যাসাজ করুন। উপকার মিলবে।
- চুল পড়ে যেতে পারে বিভিন্ন কারণে। হিন্দুস্তান টাইমস পত্রিকার একটি প্রতিবেদন বলছে; কেউ যদি নিয়মিত চুলের যত্নে পেয়ারা পাতা ব্যবহার করেন, তবে দ্রুত উপকার পাবেন। কারণ এই পাতা ব্যবহার করলে তা চুল পড়া কমায় এবং চুলের স্বাভাবিক বৃদ্ধি বজায় রাখে। উপকারী এই পাতায় প্রচুর ভিটামিন বি রয়েছে। এটি চুলের পুষ্টিতে ব্যাপক মাত্রায় সাহায্য করে।
- বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পাতা ব্যবহার করলে চুলের গোড়ায় গ্রন্থি কোষ মজবুত হয়। কীভাবে চুলের যত্নে উপকারী এই পাতা ব্যবহার করবেন জেনে নিন।
- পরিষ্কার পানিতে ২০ মিনিট ফুটিয়ে নিন পেয়ারা পাতা। নামিয়ে ঠান্ডা করে ছেঁকে নিন। এই মিশ্রণ লালচে ধরনের দেখতে হবে। একটি স্প্রে বোতলে ভরে নিন এটি। হেয়ার টনিকের মতো নিয়মিত চুলের গোড়ায় ব্যবহার করুন। এই মিশ্রণ দিনে ব্যবহারের পাশাপাশি রাতে ঘুমানোর আগেও ব্যবহার করতে পারেন।
- রাতে ঘুমানোর আগে চুলের গোড়ায় এটি লাগিয়ে ম্যাসাজ করুন। পরদিন সকালে ধুয়ে নিন চুল। এভাবে কয়েক দিন একটানা ব্যবহার করুন। চুল পড়া বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি চুল ভেঙে যাওয়া রোধ করতেও এর রয়েছে কার্যকারিতা। তবে ঘরোয়া যত্নেও চুল পড়া বন্ধ না হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
পেয়ারা পাতার উপকারিতা চুলের জন্য
ফলের মতো পাতায়ও ভিটামিন বি এবং সি রয়েছে, যা চুলের বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় কোলাজেন বাড়াতে অনেক সাহায্য করে থাকে । পেয়ারা পাতার উপকারিতা অনেক বেশি , যা বলে বুজানো সম্ভব হবে না । এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা মাথার ত্বক স্বাস্থ্যকর রাখতে সাহায্য করে
নতুন চুল গজাতে পেয়ারা পাতা
আমাদের চুল পড়ার সমস্যা দূর করে মাথায় নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে পেয়ারা পাতা। গবেষকরা বলছেন, কেউ যদি নিয়মিত চুলের যত্নে পেয়ারা পাতা ব্যবহার করেন তবে দ্রুতই উপকার পাবেন। কারণ এই পাতা ব্যবহার করলে তা চুল পড়া কমায় এবং চুলের স্বাভাবিক বৃদ্ধি বজায় রাখে। উপকারী এই পাতায় আঠে প্রচুর ভিটামিন বি।
পেয়ারা পাতা দিয়ে চুল লম্বা করার উপায়
এক মুঠো পেয়ারা পাতা, এক লিটার পানি এবং উপাদানগুলো ফুটানোর জন্য একটি পাত্র হলেই আপনি এটি তৈরি করতে পারবেন। পেয়ারা পাতাগুলো ২০ মিনিটের জন্য পানিতে ফুটিয়ে নিন। মিশ্রণটি ছেঁকে নিন এবং ঘরের তাপমাত্রায় ঠান্ডা হতে দিন। পরিষ্কার চুলে এই মিশ্রণ ব্যবহার করতে হবে।
চুল পড়া বন্ধ করায় পেয়ারা পাতার ব্যবহার
গবেষকদের দাবি, পেয়ারা পাতা নিয়মিত ব্যবহারের ফলে মাথার চুলের ঝরে পড়া রোধ হয় এবং চুলের স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। পেয়ারা পাতায় রয়েছে প্রচুর ভিটামিন বি, যা স্বাস্থ্যকর চুলের জন্য খুবই উপকারি। তাদের আরও দাবি, পেয়ারা পাতা অবশ্যই মাথার চুল ঝরে পড়া রোধ করবে। সেই সঙ্গে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে।
পেয়ারা পাতা চুলের যত্নে কীভাবে ব্যবহার করবেন
- এক মুঠো পেয়ারা পাতা, এক লিটার পানি এবং উপাদানগুলো ফুটানোর জন্য একটি পাত্র হলেই আপনি এটি তৈরি করতে পারবেন।
- পেয়ারা পাতাগুলো ১৫ মিনিটের জন্য পানিতে ফুটিয়ে নিন। মিশ্রণটি ছেঁকে নিয়ে ঘরের তাপমাত্রায় ঠান্ডা হতে দিন। পরিষ্কার চুলে এই মিশ্রণ ব্যবহার করতে হবে। তাই গোসল করার পরে ব্যবহার করা ভালো।
- আপনার চুল প্রায় শুকিয়ে গেলে ভাগ করুন এবং পেয়ারা পাতার মিশ্রণ ব্যবহার করা করুন। এটি আপনার মাথার ত্বকে কমপক্ষে ১৫মিনিটের জন্য ম্যাসাজ করুন এবং পুরো মাথার ত্বকে লাগিয়ে নিন। ম্যাসেজ রক্তচাপ উন্নত করে, যা ফলিকলগুলোকে বেশি পুষ্টি পেতে সাহায্য করে। এভাবে দুই ঘণ্টা পর্যন্ত রেখে দিতে পারেন। চাইলে একটি তোয়ালে দিয়ে চুল মুড়িয়ে রাখতে পারেন।
- ঘণ্টা দুই পর চুল হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তবে পানি যেন খুব বেশি গরম না হয় সেদিকে খেয়াল রাখবে। কারণ গরম পানি চুল এবং মাথার ত্বককে শুষ্ক করে দিয়ে থাকে। চুল পড়ার সমস্যা বেশি থাকলে পেয়ারা পাতার মিশ্রণটি সপ্তাহে তিনবার ব্যবহার করুন। যদি চুলের বৃদ্ধি করতে এবং আপনার চুলকে চকচকে রাখতে চুলের এই প্যাকটি ব্যবহার করেন তবে এটি সপ্তাহে দুইবার ব্যবহার করুন।
Leave a Reply