প্রাচীনকাল থেকে ব্যবহৃত হয়ে আসছে মেথি। এতে নানা সমস্যা উধাও হবে ম্যাজিকের মতো করে কাজ করবে। মেথি একটি ভেষজ যা ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল, দক্ষিণ ইউরোপ এবং পশ্চিম এশিয়ায় পাওয়া যায় । এটি অনেকে রান্নার কাজে এবং নানা ঘরোয়া প্রতিকার হিসাবে ব্যবহার করে থাকে । মেথি পোকা তাড়ানোর জন্যও ব্যবহার করা হয়ে থাকে ।
মেথি ভিটামিন এ , থিয়ামিন, ফলিক এসিড, রাইবোফ্ল্যাভিন, নিয়াসিন, ভিটামিন এ, বি৬ এবং সি সমৃদ্ধ।মেথিকে- মসলা, খাবার, পথ্য এই তিনটিই বলা যায়। এর পাতা শাক হিসাবেও জনপ্রিয়তা রয়েছে। যুগ যুগ ধরে কবিরাজী চিকিৎসায়ও এর ব্যবহার হয়ে আসতেছে। মেথি বীজে শরীরের জন্য অনেক উপকারি উপাদান রয়েছে। চলুন জেনে নিই আজকে মেথির কিছু আশ্চর্যজনক স্বাস্থ্য গুনাগুণ সম্পর্কে।
মেথি রান্নার স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। চুলের বৃদ্ধি থেকে শুরু করে হজম জটিলতা, ওজন নিয়ন্ত্রণ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে মেথি সহায়ক ভূমিকা রাখে। বেশি মাত্রায় মেথি খাওয়া রক্তের শর্করারা মাত্রা হ্রাস করে। তাই ওজন কমাতে বা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে সঠিক মাত্রায় মেথি খাওয়া যেতে পারে।ত্বকের যত্নেও মেথির জুড়ি মেলা ভার।
মেথি হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে ,তৃপ্তিদায়ক অনুভূতি বাড়ায়,স্বাস্থ্যকর পচন প্রক্রিয়ার বিন্যাস ঘটায়,রক্তের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রনে রাখে,শক্তি ধরে রাখতে সাহায্য করে,ত্বকে আর চুলেও নানা রকম সমস্যায় উপকারিতা দেয়। এই সমস্ত গুনাবলি মিলে মেথি গুড়া হয়ে উঠেছে স্বাস্থ্য,ত্বক ও চুলের যত্নের জন্য অত্যন্ত চমৎকার একটি উপাদান।
মেথী রাতে পানিতে ভিজিয়ে সকালে মেথীসহ পানি খালি পেটে খেতে হবে। খেলে পুরুষের বীর্যের শুক্রানু বাড়বে তবে ৩ মাস একটানা খেতে হবে। যাদের বাচ্চা কাচ্চা হচ্ছে না পুরুষের সমস্যার কারনে ,তারা তাদের শুক্রানু বাড়াতে ৩ মাস মেথী গোটা বা গুড়া পানিতে রাতে ভিজিয়ে সকালে খালি পেটে খাবেন ।আসা করি এতেই উপকার পাবেন ।
মেথিতে উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য শরীরের ব্যথা এবং ফোলা থেকে মুক্তি দেয় । পিরিয়ডসের সময় নারীদের নানা সমস্যার মধ্য দিয়ে যেতে হয় । এই সময় মেয়েদের পেটে ব্যথা, জ্বালাপোড়া এবং ক্র্যাম্পের কারণে অনেক সমস্যায় পড়তে হয় । যদি এসব সমস্যায় ভুগে থাকেন ,তাহলে পানির সাথে মেথি গুঁড়ো খেলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি মিলতে পারে ।
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে মেথি ভেজানো পানি খেলে গ্যাস্ট্রিকের ব্যাথা কমতে পারে । তারসাথে মেথি ভিজানো পানি খাওয়ার উপকারিতা অনেক বেশি । ভেজানো মেথি থেকে হজমশক্তি বাড়ে তারসাথে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাও দূর হয়। পেটের যে কোনও সমস্যা, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং ফোলাভাব দূর করতে মেথির জুড়ি মেলা ভার। তাই হঠাৎ করে গ্যাস-অম্বল এবং পেটের সমস্যা বাড়লে অবশ্যই মেথি খেতে হবে ।
মেথির মধ্যে রয়েছে একরকম অ্যামাইনো অ্যাসিড , যা ডায়াবেটিস চিরকালের মতো দূর করতে সাহায্য করবে । আর এই জন্যই যাঁদের ডায়াবেটিস থাকে তাঁদের মেথি চিবিয়ে খেতে বলা হয়। মেথি ভেজানো পানি খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। ক্যানসার থেকে মুক্তি পেতে মেথির ভূমিকা রয়েছে বলে জানাচ্ছে আয়ুর্বেদ।
মেথিতে থাকা অ্যামিনো অ্যাসিড অগ্ন্যাশয়ে ইনসুলিন তৈরিতে সাহায্য করে থাকে । নিয়মিত ১০ গ্রাম মেথি গরম পানিতে ভিজিয়ে রেখে সে পানি পান করলে টাইপ টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি অনেকটাই কমে আসে। এই সমীক্ষায় ৩০টি দেশের ২৫ হাজার পুরুষ অংশগ্রহণ করে। যারা সবাই দিনে ২ বার মেথির পানীয় সেবন করে থাকে।
মেথি বীজ উচ্চ দ্রবণীয় আঁশ সমৃদ্ধ যা হজম ও কার্বোহাইড্রেইট শোষণকে ধীর করে রক্তের শর্করা কমাতে সহায়তা করে। খাবারে মেথি বীজ যোগ করা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ ও উপবাসের মাধ্যমে রক্তের গ্লুকোজ ও এইচবিএ১সি এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণ অনুশীলনে প্রভাব রাখে।ডায়াবেটিস কমাতে মেথির উপকারিতার জুড়ি নেই ।ডায়াবেটিসের মহা ঔষধ বলা হয় মেথি কে।
কোষ্টকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে থাকে মেথি। আসলে এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা হজম ক্ষমতা বাড়ায়। মেথিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা আমাদের হজম ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। আর তাই সকালে খালি পেটে মেথি ভেজানো পানি খেয়ে কোষ্টকাঠিন্যের সমস্যাও দূর হয়।
যখন বেশি পরিমাণে মুখের মাধ্যমে মেথি নেওয়া হয় তখন তা গ্যাস, পেট ব্যথা ও ডায়রিয়া হতে পারে। মেথি থেকে হওয়া এলার্জি প্রতিক্রিয়ার সাধারণ লক্ষণ হল ফুসকুড়ি, বাত, শ্বাস এবং অজ্ঞানহয়ে যাওয়া ইত্যাদি। আপনি যদি কোনো ওষুধ সেবন করেন তাহলে ওষুধগুলি গ্রহন করার অন্তত দুই ঘণ্টা আগে বা পরে মেথির ব্যবহার করা উচিত।নিয়ম মেনে চললেই ক্ষতির সম্ভবনা কম থাকবে।
খুব সহজে ১০ মিনিটে তৈরি কেক রেসিপি এটি বাচ্চাদের টিফিনে এবং সন্ধ্যায় বাড়িতে খাওয়ার…
এই সহজ পিজ্জা রেসিপিটি নতুনদের জন্য দুর্দান্ত এবং একটি নরম ঘরে তৈরি পিজ্জা ক্রাস্ট তৈরি…
গ্রিন টি পান করা আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য ভাল তবে এটি আপনার মুখে প্রয়োগ করা…
মানুষ বহু শতাব্দী ধরে গ্রিন টি এর স্বাস্থ্য উপকারিতাকে স্বাগত জানিয়েছে। গবেষণায় দেখা যায় যে…
ড্রাগন ফলের উপকারিতা ১.অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ২.ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায় ৩.ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় ৪.হজমে সাহায্য করে…
ড্রাগন ফল, যা "সুপারফুড" হিসাবে বিবেচিত হয়, সম্ভাব্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যগুলির সাথে উচ্চ পুষ্টি…