ড্রাগন ফল (যা পিতায়া নামেও পরিচিত, , বৈজ্ঞানিক নাম Hylocereus undatus) এটি এক প্রজাতির ফল, একধরনের ফণীমনসা (ক্যাক্টাস) প্রজাতির ফল, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণভাবে এর মহাজাতি হায়লোসিরিয়াস (মিষ্টি পিতায়া)। এই ফল মূলত ড্রাগন ফল হিসেবে পরিচিত।
রুব্রিক Hylocereus-এ তিন ধরনের ড্রাগন ফল রয়েছে, যখন Selenicereus-এ রয়েছে একটি । প্রতিটি প্রজাতি বেশ কয়েকটি মংরেলের মিশ্রণ। ড্রাগন ফলকে তাদের ত্বকের রঙ এবং মাংসের রঙ দ্বারা শ্রেণিবদ্ধ করা অনেক সহজ। Hylocereus umlauts গোলাপী-মাংসের এবং সাদা-মাংসের।
ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিজেন আছে। ক্যালসিয়াম আছে ভালো পরিমাণে। যাদের বোন ডেনসিটি বা হাড়ের কোনো সমস্যা আছে তাদের শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করার জন্য ড্রাগন ফল অত্যন্ত উপকারী। বাচ্চাদের ভিটামিন এ এবং বিটা ক্যারোটিনের চাহিদা পূরণে ড্রাগন ফল খেতে দেওয়া যেতে পারে।
বর্তমানে আমাদের দেশে ড্রাগন খুব পরিচিত ফল ।এখন আমাদের দেশেও ড্রাগনের চাষ হচ্ছে ।প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ,বাচ্চাদের ভিটামিন এ বিটা এবং বিটা ক্যারোটিনের চাহিদা পূরণ করে ড্রাগন ফল খেতে দেওয়া যাবে। ড্রাগন ফল খেলে চোখের সমস্যা ভালো হয়। গর্ভ অবস্থায় ড্রাগন ফল খাওয়ার অনেক ভালো। ড্রাগন ফল স্বাস্থ্যের জন্য ভালো, তেমনি ত্বকের জন্য উপকারী একটি ফল।
যাদের ত্বকের বিভিন্ন দাগে বিশ্রীচেহারা হয়ে গেছে । তাদের জন্য এই ফল খুবই উপকারী যে জেনে নিন কিভাবে রূপচর্চায় ড্রাগন ফল ব্যবহার করবেন ।সবাই চায় সুন্দর দেহ ও মনের পাশাপাশি এক এক মনমুগ্ধকর মসৃণ উজ্জ্বল ফর্সা ত্বক। ঋতুরাজ হেমন্তের পরে শীতের আগমন ।শীত মানে আপনার তো ফ্যাকাশে আর শুষ্ক হয়ে যাচ্ছে না তো ,শীত শেষ হতেই গরমের কারণে চেহারার ব্রণ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে না তো, বিভিন্ন ধরনের বিচি আর ব্রণ,মেছতা দাগে নষ্ট হচ্ছে না তো আপনার সুন্দর মসৃণ চেহারা আর ভয় নেই ।
ত্বকের যেসব উপকার করে ড্রাগন ফল ত্বকে আর্দ্রতা যোগ করে এবং নরম, নমনীয় করে ত্বক। ড্রাগন ফলে থাকা ভিটামিন সি, জিঙ্ক এবং নিয়াসিনামাইড ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে। ড্রাগন ফলের থাকা ভিটামিন সি মেলানিন সংশ্লেষণ হ্রাস করে এবং কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায়। এটি ত্বকের লালভাব এবং দাগ দ্রুত কমাতে সাহায্য করে।
ড্রাগন ফল দিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। এবার এই পেস্টে কিছু বেসন, গোলাপ জল এবং কাঁচা দুধ যোগ করুন। এবার এই প্যাকটি ঘাড়ে এবং মুখে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিটের জন্য। এরপর আঙ্গুল দিয়ে ম্যাসাজ করে, সাধারণ জল দিয়ে ত্বক ধুয়ে ফেলুন।
মুখে ব্রণ , মেছতা ,আরো নানা দাগ তুলতে সাহায্য করে এমন ফল ।দীর্ঘদিন ব্যবহারের ত্বকের প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা বাড়ায় এই ড্রাগন ফল ।ত্বকের পাশাপাশি স্বাস্থ্যের জন্য ড্রাগন ফল উপকারী ।প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস ড্রাগন ফলের রস খেলে শরীরের ট্রনিক্স বের হয় ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে । ড্রাগন ফলে ভিটামিন সি রয়েছে ,যা আপনার ত্বকের বাড়তি তেলতেলে ভাব থেকে মুক্ত রাখে ।
আপনার ত্বকে এনে দিবে প্রাকৃতিক গ্লো।ত্বক উজ্জ্বল রাখতে ভীষণ গোলাপজল এবংকাঁচা দুধ মিশিয়ে নিন । এরপর ড্রাগন ফলের সাথে ব্লেন্ড করে ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন ।তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছে নিবেন অথবা হাওয়ায় শুকিয়ে নিবেন।এতে ত্বক সুন্দর ও সুস্থ থাকবে ।
মুখে অকালের বয়সের ছাপ পড়তে শুরু করেছে বা শীতকালে শুষ্ক ত্বকেফ্যাকাসে দেখাচ্ছে ত্বক। দাগ স্পটে ভরে যাচ্ছে মুখ ?এইসব ক্ষেত্রে আপনি ড্রাগন কাজে লাগাতে পারেন। ড্রাগন ফল একটি প্রাকৃতিক উপাদান। ড্রাগনের মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফ্রীব্যারিকেল আপনার মুখের বয়সের ছাপ পড়া আটকাবে।
তারন্য উজ্জ্বল , টান টান ত্বক পেতে ড্রাগন ফল ব্যবহার করুন আপনার ফেস মাক্স হিসেবে। বয়সের সাপ কমাতে আটখানা ড্রাগন ফল নিয়ে ব্লেন্ড করে । তারপর এক চা চামচ করে নিজের মুখে ও গলায় লাগাবেন। 20 মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন ।সপ্তাহে একবার করুন দেখবেন তো কতটা তফাৎ।
ড্রাগন ফল রোদে পোড়া বা ত্বকের জ্বালাভাব ফোসকা কমাতে সাহায্য করে ।ড্রাগন ফল দিয়ে তৈরি ফেসপ্যাক লাগালে আপনি ফিরে পাবেন উজ্জ্বল প্রাকৃতিক গ্লো।ত্বক রোদে পুড়ে গিয়ে থাকলে একটি ভিটামিন এ সঙ্গে একটি ড্রাগনের চার ভাগের একভাগ ব্লেন্ড করে মুখের পোড়া অংশে লাগিয়ে নিবেন। ২০ মিনিট পর ঠাণ্ডার পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নিবেন ।তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছে নিবেন অথবা হাওয়ায় শুকিয়ে নিবেন। প্রতিদিন ব্যবহারে আপনার দাগ চলে যাবে।
ব্রণ সারাতে একটা ড্রাগন ফলের চার ভাগের এক ভাগ নিয়ে শ্বাসটা ভালো করে বের করে নিন। ব্লেন্ড করে নিন ।পরিষ্কার তুলো নিয়ে পরিমান মতো পেস্ট নিয়ে ব্রণের উপর লাগিয়ে নিন।একাধিক ব্রণ থাকলে আলাদা আলাদা তুলা ব্যবহার করবেন । আর না হলে সমস্যার সমাধান হবে না । বিশ মিনিট হালকা ঠান্ডা পানি ধুয়ে ফেলুন। তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছে নিবেন অথবা হাওয়ায় শুকিয়ে নিবেন। প্রতি সপ্তাহে একবার ব্যবহার করলে ব্রণ কমে যাবে ।কিন্তু বেশি ব্রণ থাকলে আর নিয়মিত ব্যবহার করুন।
১.অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ,
২.ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়,
৩.ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়,
৪.হজমে সাহায্য করে,
৫.হার্টের সুস্থতায় ড্রাগন ফল,
৬. ড্রাগন ফল ওজন হ্রাসে সাহায্য করে,
৭. ড্রাগন ফল হাড় মজবুত করে,
৮. ব্রনের সমস্যায় ড্রাগন,
৯. ড্রাগন রক্তশূন্যতা দূর করে,
১০. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে ড্রাগন ফল,
১১. ড্রাগন ফল দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে,
১২. ড্রাগন ফল মানসিক চাপ দূর করে,
১৩.হাইড্রেশন সাহায্য করে ড্রাগন ফল,
১৪.ড্রাগন ফল ইমিউন সিষ্টেম বাড়ায়,
১৫.বয়সের ছাপ দূর করে,
১৬. চুল পড়া রোধ করে,
১৭. ড্রাগন ফল কিডনিকে সুস্থ রাখতে সহায়ক,
১. অ্যালার্জির সমস্যা ,
২. ড্রাগন খেলে ডাইরিয়া হতে পারে,
৩. ড্রাগন ফলের উচ্চ দাম,
৪. সীমিত প্রাপ্যতা,
ড্রাগন ফল পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ একটি ফল। নানা রকম ভিটামন, আয়রন ক্যালসিয়াম থাকায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সক্ষম। প্রতিদিনের খাবারে ফল হিসেবে ড্রাগন যোগ করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। এই টুকটুকে ফলটি দেখতে যেমন সুন্দর, এর বিস্ময়কর উপকারীতার জন্য যেমন সবাই বিস্মিত হয়। শুধু উপকার যেমন করে পাশাপাশি এই ফলের রয়েছে কিছু অপকারো । তাই আপনি যদি নিয়মিত ওষুধ খান ড্রাগন ফল খাওয়ার আগে চিকিৎসক এর পরামর্শ নিয়ে খাওয়া উচিৎ।ড্রাগন ফল খেলে আপনার ত্বক হবে উজ্জ্বল নমনীয় তেমনি ফিরে পাবেন মুখের জেল্লা।
খুব সহজে ১০ মিনিটে তৈরি কেক রেসিপি এটি বাচ্চাদের টিফিনে এবং সন্ধ্যায় বাড়িতে খাওয়ার…
এই সহজ পিজ্জা রেসিপিটি নতুনদের জন্য দুর্দান্ত এবং একটি নরম ঘরে তৈরি পিজ্জা ক্রাস্ট তৈরি…
গ্রিন টি পান করা আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য ভাল তবে এটি আপনার মুখে প্রয়োগ করা…
মানুষ বহু শতাব্দী ধরে গ্রিন টি এর স্বাস্থ্য উপকারিতাকে স্বাগত জানিয়েছে। গবেষণায় দেখা যায় যে…
ড্রাগন ফলের উপকারিতা ১.অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ২.ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায় ৩.ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় ৪.হজমে সাহায্য করে…
ড্রাগন ফল, যা "সুপারফুড" হিসাবে বিবেচিত হয়, সম্ভাব্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যগুলির সাথে উচ্চ পুষ্টি…